প্রফেসর রাহিল দাউতের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও উইঘুর নির্যাতনের ইতিহাস


এস আব্দুল্লাহ
Published: 2023-10-16 20:47:03 BdST | Updated: 2024-05-16 03:54:48 BdST

সম্প্রতি প্রফেসর রাহিল দাউতের যাবজ্জীন কারাদন্ডের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার প্রেক্ষিতে চীনের চলমান উইঘুর নির্যাতনের বিষয়টি আবারও সামনে চলে এসেছে। দাউত ছিলেন জিনজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক  এবং একজন বিশিষ্ট উইঘুর পণ্ডিত যিনি তার জনগণের লোককাহিনী এবং ঐতিহ্যের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন।  তিনি গোটা জিনজিয়াং ও মধ্য এশিয়া জুড়ে পবিত্র ইসলামিক স্থান এবং উইঘুর সংস্কৃতি চর্চা বিষয়ক তার কাজের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত ছিলেন। তিনি অনেক নিবন্ধ এবং বই লিখেছেন এবং কেমব্রিজ ও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিদেশে একজন ভিজিটিং পণ্ডিত হিসাবে বক্তৃতা দিয়েছেন।

২০১৭ সালের শেষের দিকে জিনজিয়াং অঞ্চলে একটি সরকারী ক্র্যাকডাউনের সময় তিনি নিখোঁজ হন। বছরের পর বছর ধরে, তার সঠিক অবস্থা অজানা ছিল কারণ চীনা কর্তৃপক্ষ তার অবস্থান বা তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রকৃতি প্রকাশ করেনি। 

গত সেপ্টেম্বর মাসে সানফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক ডুই হুয়া ফাউন্ডেশন  একটি চীনা সরকারী নথির বরাতে প্রকাশ করে যে দাউতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একটি গোপন বিচারে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার অভিযোগে রাহিল দাউতকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। দাউত আপিল করলেও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ডুই হুয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জন কামের মতে তাকে এ ধরনের শাস্তি দেওয়া একটি নিষ্ঠুর ট্র্যাজেডি।

দাউত জিনজিয়াংয়ে আটক ৪০০ জনেরও  বেশি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক, অভিনয়শিল্পী এবং শিল্পীদের একজন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে সরকার উইঘুর সংস্কৃতি, ভাষা এবং পরিচয়কে দুর্বল বা এমনকি মুছে ফেলার উপায় হিসেবে বুদ্ধিজীবীদের টার্গেট করেছে।

 

উইঘুর নির্যাতনের ইতিহাস

জিনজিয়াং চীনের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি দেশের বৃহত্তম অঞ্চল যা চীনের স্থলভাগের এক-ষষ্ঠাংশ দখল করে আছে। এর সাথে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং কাজাখস্তান সহ আটটি দেশের সীমান্ত রয়েছে। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে “জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল” (XUAR: Xinjiang Uyghur Autonomous Region) নামে পরিচিত। অর্থাৎ, তিব্বতের মতো এটি স্বায়ত্তশাসিত - তাত্ত্বিকভাবে  যার স্ব-শাসনের কিছু ক্ষমতা থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে, উভয় অঞ্চলই কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা বড় ধরনের বিধিনিষেধের শিকার।

জিনজিয়াং-এ প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ উইঘুর বাস করে, যাদের বেশিরভাগই মুসলিম। উইঘুররা তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলে, যা তুর্কি ভাষার মতো এবং নিজেদেরকে সাংস্কৃতিক ও জাতিগতভাবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর কাছাকাছি বলে মনে করে। 

 ২০ শতকের গোড়ার দিকে উইঘুররা অল্প সময়ের জন্য এই অঞ্চলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ১৯৪৯ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে জিনজিয়াংকে চীন নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। সেখানে বসবাসরত কিছু উইঘুররা এই অঞ্চলটিকে পূর্ব তুর্কিস্তান বলে উল্লেখ করে এবং যুক্তি দেয় যে চীন থেকে এটি স্বাধীন হওয়া উচিত। 

চীন সরকার জিনজিয়াং-এ ইসলামের যে কোনো অভিব্যক্তিকে চরমপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছে। সরকার সশস্ত্র উইঘুরদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী করেছে  (২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রুপটিকে তার সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়ে বলে যে এই গ্রুপটির বিরুদ্ধে এধরনের কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই)। যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে হামলার পর চীনা সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের অংশ হিসেবে উইঘুরদের প্রতি তার বিভিন্ন নিবর্তনমূলক কর্মকাণ্ডকে ন্যায্যতা দিতে শুরু করে। তারা বলতে থাকে তারা "তিনটি মন্দ" - বিচ্ছিন্নতাবাদ, ধর্মীয় চরমপন্থা এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ-কে যেকোন মূল্যে মোকাবেলা করবে৷

 

২০০৯: জিনজিয়াং দাংগা

২০০৯ সালে জিনজিয়াং এর রাজধানী উরুমকিতে বিক্ষোভ হয়। উইঘুর বিক্ষোভকারীরা এই অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনাপ্রাপ্ত হান চীনা অভিবাসন এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। প্রথমে এটা শান্তিপূর্ণ ছিল। পরবর্তীতে হান ও উইঘুরদের মধ্যে মারাত্মক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় দুই শতাধিক লোক নিহত হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই হান। অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অবশ্য সরকারী এই বর্ণনার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে উইঘুর বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অপ্রয়োজনীয় বা অত্যধিক বলপ্রয়োগের কথা উল্লেখ করে, যার মধ্যে মারধর, কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার এবং সরাসরি বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানোর মত ঘটনা রয়েছে।

বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেস নেতা বিশিষ্ট নির্বাসিত উইঘুর কর্মী রেবিয়া কাদির দাবি করেছিলেন যে ২০০৯ সালে বিক্ষোভের পরে প্রায় ১০,০০০ উইঘুর রাতারাতি নিখোঁজ হয়েছিল।

অ্যামেনেস্টি জানায়, “বিক্ষোভের পর গণগ্রেফতার করা হয়, ঘরে ঘরে তল্লাশির ফলে হাজার হাজার না হলেও শত শত মানুষকে নির্বিচারে আটক করা হয় এবং উইঘুরদের জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন ও দুর্ব্যবহার করার অসংখ্য প্রতিবেদন পাওয়া যায়। নিখোঁজ আত্মীয়দের সম্পর্কে তথ্য চাইছে এমন পরিবারগুলিকে ভয় দেখানো হয়, আটক করা হয় এবং তাদের প্রিয়জনদের খোঁজা বন্ধ করার প্রয়াসে কর্তৃপক্ষের দ্বারা ভয় দেখানো হয়।”

বিশেষজ্ঞদের মতে ২০০৯ সালের ঘটনা উইঘুরদের প্রতি বেইজিংয়ের কঠোর মনোভাবের পেছনে যুক্তি এবং তাদের দোষারোপ করার অযুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বেইজিংয়ের দৃষ্টিতে, সমস্ত উইঘুর সম্ভাব্য সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসী সহানুভূতিশীল হতে পারে। পরের কয়েক বছর ধরে, কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সরকারী অফিস, ট্রেন স্টেশন এবং খোলা বাজারের পাশাপাশি বেইজিংয়ের তিয়ানানমেন স্কোয়ারে হামলার জন্য উইঘুরদের দায়ী করে।

 

২০১৭: চরম নির্যাতনের শুরু

২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং একটি আদেশ জারি করেছিলেন যে চীনের সমস্ত ধর্ম চীনের অনুবর্তী হওয়া উচিত। তখন জিনজিয়াং-এর সরকার একটি চরমপন্থা বিরোধী আইন পাস করে যা লোকেদের দীর্ঘ দাড়ি রাখা এবং জনসমক্ষে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করেছিল। এটি উগ্রবাদ নির্মূল করার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা ক্যাম্প ব্যবহারকেও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এরপর থেকেই মূলত শুরু হয় মারাত্মক নির্যাতন এবং নির্বিচারে ব্যাপকভাবে আটক। আটকৃতদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প বা রি-এডুকেশন ক্যাম্পের নামে বন্দী রেখে করা হয় নানা রকমের মারাত্মক নির্যাতন। এর পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশীলন নিষিদ্ধ করা এবং মসজিদ ও সমাধি ধ্বংস করা হয়। 

বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেন যে ২০১৪ সালে জিনজিয়াংয়ে এসব ক্যাম্পের প্রচলন শুরু হয়েছিল এবং ২০১৭ সালে তা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়।

ক্যাম্পে আটক বেশিরভাগ লোককে কখনোই অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়নি এবং তাদের আটককে চ্যালেঞ্জ করার কোনো আইনি উপায় ছিল না। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে আটক ব্যক্তিদের বিভিন্ন কারণে টার্গেট করা হয়। যেমন: তুরস্ক এবং আফগানিস্তানের মতো চীনের দৃষ্টিতে স্পর্শকাতর ২৬টি দেশের যেকোন একটিতে ভ্রমণ বা যোগাযোগ করা; মসজিদে নামাজ বা অন্যান্য কর্মকান্ডে যোগদান; তিনটির বেশি সন্তান থাকা; এবং কোরানের আয়াত সম্বলিত ম্যাসেজ পাঠানো। প্রায়শই তাদের একমাত্র অপরাধ মুসলিম হওয়া। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির মতে, অনেক উইঘুরকে কেবল তাদের ধর্ম পালন করার জন্য চরমপন্থী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ক্যাম্পে কী ঘটে সে সম্পর্কে তথ্য সীমিত রয়ে গেছে। তবে অনেক বন্দী যারা চীন থেকে পালিয়ে গেছে তারা কঠোর অবস্থার বর্ণনা দিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় ২০২২ সালে কয়েক ডজন লোকের সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে ২৬ জন আটক ব্যক্তি রয়েছে, যেখানে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ক্যাম্পগুলোতে  "নির্যাতন বা অন্যান্য ধরনের নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ"-এর বর্ণনা পাওয়া গেছে। 

জাতিসংঘের প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক, গবেষক এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলির দ্বারা পূর্ববর্তী অনুসন্ধানগুলিকে নিশ্চিত করেছে৷ বিভিন্ন ফাঁস হওয়া তথ্য-প্রমাণে দেখা গিয়েছে যে, এসব ক্যাম্পগুলিকে কঠোর শৃঙ্খলা এবং শাস্তি সহ উচ্চ নিরাপত্তা কারাগার হিসেবে পরিচালনা করা হয়। বন্দিদের বাধ্য করা হয় কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিতে এবং ইসলাম ত্যাগ করতে। সেইসাথে কমিউনিজমের প্রশংসা গাইতে এবং ম্যান্ডারিন ভাষা শিখতে। কিছু লোক কারাগারের মতো অবস্থার কথা জানিয়েছে যেখানে ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন তাদের প্রতিটি গতিবিধি এবং উচ্চারণ পর্যবেক্ষণ করে। অন্যরা বলেছে যে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের নির্যাতন করা হয়েছে এবং তাদর ঘুম থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। নানাভাবে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। নারীরা ধর্ষণ, গণধর্ষণসহ যৌন নির্যাতনের কথা শেয়ার করেছেন। কিছু মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দী আত্মহত্যার কথা ভেবেছে বা অন্যদের আত্মহত্যা করতে দেখেছে।

আটককৃতদের পরিবারগুলোকেও নির্যাতন করা হয়েছে। যেসব শিশুর বাবা-মাকে ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল তাদের প্রায়ই রাষ্ট্র পরিচালিত এতিমখানায় থাকতে বাধ্য করা হয়। 

২০২২ সালে বিবিসি প্রাপ্ত পুলিশ ফাইলের একটি সিরিজ চীনের এই ক্যাম্পগুলির বিবরণ প্রকাশ করেছে যাতে দেখা গিয়েছে সশস্ত্র অফিসারদের নিয়মিত ব্যবহার করা হয় এবং পালানোর চেষ্টাকারীদের জন্য হত্যার-লক্ষে-গুলি নীতি অবলম্বন করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট ২০২০ সালে জিনজিয়াং-এ ৩৮০টিরও বেশি এসব ক্যাম্পের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছে - যা পূর্বের অনুমানের তুলনায় ৪০% বেশি।

২০১৮ সালে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার কমিটি বলে, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন রয়েছে যে চীন জিনজিয়াংয়ের কাম্পে ১০ লক্ষ লোককে আটকে রেখেছে।

জিনজিয়াং পুলিশ ফাইল নামে পুলিশ নথিতে থাকা তথ্যের বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে প্রায় ২৩,০০০ বাসিন্দা  বা একটি কাউন্টির প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ১২%-এর বেশি ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে একটি ক্যাম্প বা কারাগারে ছিল। যদি এই হার সামগ্রিকভাবে জিনজিয়াংয়ে প্রয়োগ করা হয় তাহলে যা দাড়াচ্ছে তা হলো প্রায় ১২ লক্ষেরও বেশি  উইঘুর এবং অন্যান্য তুর্কি সংখ্যালঘু প্রাপ্তবয়স্কদের বিভিন্ন ক্যাম্পে আটক রাখা হয়েছে। 

জিনজিয়াং একটি মরুভূমি অঞ্চল এবং বিশ্বের প্রায় এক পঞ্চমাংশ তুলা উৎপাদন করে। মানবাধিকার গোষ্ঠী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে সেই তুলা রপ্তানির বেশিরভাগই এসব ক্যাম্পে বাধ্যতামূলক শ্রম দ্বারা বাছাই করা হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে, বিবিসি গবেষণায় দেখা যায় যে জিনজিয়াংয়ে অর্ধ মিলিয়ন লোককে তুলা তুলতে বাধ্য করা হচ্ছে। ক্যাম্পের মাঠে নতুন নতুন কারখানা গড়ে তোলার প্রমাণ রয়েছে।

উইঘুরদের ক্যাম্পে অন্তর্ভূক্ত করার পাশাপাশি জনসংখ্যাকে দমন করার জন্য উইঘুর মহিলাদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা করা হচ্ছে, শিশুদের তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে উইঘুর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

সূত্র: আল জাজিরা, কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স, বিবিসি, অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


সম্পাদক নির্বাচিত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত


শামীম সুলতানা একজন তরুণ মুসলিম মহিলা, সিঙ্গাপুরের নাগরিক এবং তিনি কায়...

সম্পাদক নির্বাচিত | 2023-06-21 22:32:39

তুর্কি খিলাফত পতনের যতগুলো কারণ আমরা দেখি তার মধ্যে একটা ছিল ইহুদীদের...

সম্পাদক নির্বাচিত | 2023-11-03 21:24:07

ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদি সরকারের কট্টরপন্থা কাশ্মীর অঞ্চলটিকে সমৃদ্ধ বা...

সম্পাদক নির্বাচিত | 2023-01-22 09:36:01

ইসলামী চিন্তা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (Institute of Islamic Thought and Re...

সম্পাদক নির্বাচিত | 2023-04-04 21:21:54

বিজ্ঞানের ইতিহাস এমন ব্যক্তিদের দ্বারা পরিপূর্ণ যারা গবেষনার ক্ষেত্রে...

সম্পাদক নির্বাচিত | 2023-03-14 19:50:53

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে ব্যাপক নিপীড়নের শিকার হয়ে রোহিঙ্গা মুসল...

সম্পাদক নির্বাচিত | 2022-12-23 22:23:11

প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ ছিলেন একাধারে একজন শিক্ষাবিদ, লেখক, সমাজ চিন্...

সম্পাদক নির্বাচিত | 2023-03-29 21:02:52

আজ ১২ আগস্ট, কবি মতিউর রহমান মল্লিকের মৃত্যুবার্ষিকী।  ২০১০ সালের এই দ...

সম্পাদক নির্বাচিত | 2023-08-12 16:28:02