ফলস আইল্যাশ ব্যবহার করা কী জায়েজ?
আপনি প্রশ্ন করেছেনঃ
নারীদের ফলস আইল্যাশ ব্যবহার করা কী জায়েজ? বর্তমানে নারীদেরকে সাজসজ্জার উদ্দেশ্যে ফলস আইল্যাশ বা নকল পাপড়ি ব্যবহার করতে দেখা যায়। ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি বৈধ হবে কি?
সকল প্রশংসা আল্লাহর।
নারীদের ফলস আইল্যাশ ব্যবহার করা বৈধ নয়। কেননা এর মাধ্যমে তাদের চিন্তা থাকে প্রকৃত অবস্থা লুকানোর দিকে, রাসূল (সা.) যার জন্য এর ব্যবহারকারীদের অভিশাপ দিয়েছেন।
বুখারী ও মুসলিমে আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সা.) এর কাছে একজন মহিলা এসে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমার মেয়ের নতুন বিয়ে হয়েছে। তার অসুস্থতার কারণে তার চুল উঠে যাচ্ছে। এখন কি আমি তাকে পরচুলা পড়াতে পারবো কিনা?’ রাসূল (সা.) উত্তর দিলেন,
হযরত আয়েশা (রা.) এর সূত্রে বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, আনসারদের এক মেয়ের নতুন বিয়ে হওয়ার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চুল পড়ে যেতে থাকে। তাকে পরচুলা পরাতে রাসূল (সা.) এর কাছে অনুমতি চাইতে গেলে রাসূল (সা.) পরচুলার নির্মাতা ও ব্যবহারকারী উভয়ের উপরই অভিশাপ করেন।
আন-নববীর মতে, ‘এই হাদিস সমূহ পরিষ্কারভাবে পরচুলার ব্যবহার হারাম হওয়ার কথা বর্ণনা করছে। এছাড়া যারা পরচুলা তৈরি ও ব্যবহার করে, তাদের উভয়কেই অভিশাপ দেয়ার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এটিই হাদিসগুলোর সঠিক অর্থ।’
ফলস আইল্যাশের ব্যবহারও একইরূপ। কেননা, প্রকৃত আইল্যাশ ফলস আইল্যাশের আড়ালে ঢাকা পরে।
এছাড়া, চিকিৎসকরা মনে করেন, ফলস আইল্যাশের ব্যবহারে চোখ ও চামড়ারও ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং, শরীয়তের বিধান অনুসারেই ক্ষতিকারক যেকোনো বস্তু থেকেই আমাদের বিরত থাকা উচিত।
মুসলিম নারীদের মনে রাখা উচিত, এ ধরণের বিষয়ে অতিরিক্ত মনোযোগ প্রদান করাটা এক ধরণের বিলাসিতা। এর মাধ্যমে অর্থ ও সময়েরও অপচয় হয়। এ সময় ও অর্থ তিনি মুসলমানদের জন্য উপকারী কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারতেন। বর্তমানকালে ভালো কাজ করার প্রতি কেউ উদ্দ্যোমী নয়। নারীরা তাদের প্রধান দায়িত্ব ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ে তোলার কাজ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং এ ধরণের বিষয়ে অতিরিক্ত মনোযোগ প্রদান করছে।
আল্লাহই সর্বোত্তম ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন।
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।