আমি কি আমার দরিদ্র আত্মীয়দেরকে যাকাত আল ফিতরের টাকা দিতে পারবো?
ওয়াআলাইকুমুসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ। পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করছি। সমস্ত প্রশংসা তাঁর জন্য। দরুদ সালাম পাঠ করছি তাঁর রাসূল সা. এর জন্য।
এই ফতোয়াতে যা আছেঃ
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শায়খ ইবনে উসাইমিন (রহ.) বলেন, রমজান মাসের একটি বিশেষ সদকা হলো যাকাত আল ফিতর। এ মাসে ঈদুল ফিতরের নামাজের আগে বা পরে যেকোন সময় এ সদকা প্রদান করা যায়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যাকাত আল ফিতর প্রদানের আদেশ করেছেন যেন রোজাদাররা নিজেদেরকে পাপ থেকে পরিশুদ্ধি অর্জন করতে পারে এবং দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তরা নিজেদের খাদ্য, পোশাক ইত্যাদি মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে।
যাকাত আল ফিতর এবং যাকাতের সম্পদ গরীব আত্মীয়দের দেয়া বৈধ। এমনকি অপরিচিত কাউকে দেয়ার থেকে আত্মীয়দের দেয়াটাই ভালো। কারণ আত্মীয়দেরকে দিলে এটি একই সাথে সদকা হিসেবে কাজ করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্কের বন্ধন সুদৃঢ় করার মাধ্যম হিসেবেও কাজ করবে।
কিন্তু এটি এই শর্তের সাথে জড়িত যে, সে যেন এ সদকা প্রদানের মাধ্যমে নিজের সম্পদকে রক্ষা না করা হয়। অর্থাৎ, এটি এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যে, দরিদ্য ব্যক্তিটি যদি এমন কেউ হয় যার ভরণপোষণের ভার প্রদানের দায়িত্ব দাতার জন্য নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে তাহলে এমন কারো প্রয়োজন যাকাতের অর্থ দিয়ে পূরণ করা যাবে না। কারণ সে যদি এমন করে তার মানে হলো সে তার যাকাতের সম্পদ দিয়ে নিজের সম্পদকে বাঁচাচ্ছে। এটা কিছুতেই বৈধ হবে না বা অনুমোদিত নয়।
কিন্তু ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেই এমন আত্মীয়কে যাকাত দেয়া যাবে। অপরিচিত কাউকে দেয়ার চেয়ে বরং এ ধরণের কাউকে দেয়াটাই ভালো হবে। কারণ মহানবী (সাঃ) বলেছেনঃ
“তোমার আত্মীয়কে প্রদান করা সদকা একই সাথে সদকা ও আত্মীয়তার বন্ধন সুদৃঢ় করার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে”। (মাজমু ফাতওয়া আল শায়খ ইবনে উসাইমিন; ১৮, প্রশ্ন নং ৩০১)
সর্বশক্তিমান আল্লাহই সবচেয়ে বেশি ভালো জানেন।
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।