ইসলামের ইতিহাসে শিক্ষা


ফিরাস আল খতিব; অনুবাদ: তাহারাতুন তাইয়্যেবা 
Published: 2021-11-18 20:20:27 BdST | Updated: 2024-05-14 11:44:00 BdST

ইসলামের শুরু থেকেই মুসলমানদের হৃদয়ে শিক্ষার বিষয়টি ছিল সবার প্রথমে। মুহাম্মদ (সা) এর প্রতি অবতীর্ণ কুরআনের প্রথম শব্দই ছিল, "পড়"।

 একবার নবী করীম (সা) বলেছিলেন যে "জ্ঞান অন্বেষণ করা সকল মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক।"  জ্ঞান অন্বেষণের এরকম সরাসরি নির্দেশ পাওয়ার পর পরই মুসলমানরা শিক্ষা ব্যবস্থার উপর ব্যাপক জোর দিয়েছে, যাতে নবী (সা) কর্তৃক তাদের উপর অর্পিত এই দায়িত্ব তারা পালন করতে পারে।

 ইসলামের ইতিহাস জুড়ে শিক্ষা ছিল একটি গর্বের বিষয়। এটি এমন এক ক্ষেত্র ছিল যেখানে মুসলমানরা সর্বদাই উৎকর্ষ সাধন করেছে। তারা বাগদাদ, কর্ডোভা এবং কায়রোর মতো জায়গায় বিশাল সব লাইব্রেরি এবং শিক্ষাকেন্দ্র নির্মাণ করেছিল। মুসলমানরাই প্রথম শিশুদের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরবর্তীতেও তাদের এ শিক্ষাগ্রহণ প্রক্রিয়া চালু রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে তারা অবিশ্বাস্য গতিতে বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন করেছে, যা গড়ে তুলেছে আজকের আধুনিক বিশ্ব। 

 

শিক্ষার প্রতি মনোভাব

 আজ শিশুরা যা শিখতে চায়, শিক্ষা শুধুমাত্র সেসব তথ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং,  তাদের যে তথ্য আয়ত্ত করতে হবে তার পাশাপাশি শিক্ষাবিদরা শিক্ষার্থীর মানসিক, সামাজিক এবং শারীরিক সুস্থতার বিষয়টিও বিবেচনায় নেন। মধ্যযুগীয় ইসলামি শিক্ষাও এর ব্যতিক্রম ছিল না।

 ১২ শতকের সিরীয় চিকিৎসক আল-শায়জারি ছাত্রদের চিকিৎসা সম্পর্কে বিশদভাবে লিখেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তাদের সাথে কঠোর আচরণ করা উচিত নয় বা এমন কাজে ব্যস্ত রাখা উচিত নয় যা তাদের জন্য অপকারী। 

  মহান ইসলামী পণ্ডিত আল-গাজালি এও উল্লেখ করেছেন, "শিশুকে খেলতে বাধা দেওয়া এবং শেখানোর প্রতি অবিরাম জেদ তার হৃদয়কে মৃত করে দেয়, তার বুদ্ধির তীক্ষ্ণতাকে ভোঁতা করে এবং তার জীবনকে প্রস্ফুটিত হতে বাধা প্রদান করে।

  এভাবে তাকে বাধ্য করা হলে, সে তার পড়াশুনা থেকে পুরোপুরি পালানোর জন্য  কৌশল খোঁজে।" এর পরিবর্তে, তিনি বিশ্বাস করতেন: শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করা উচিত মজার কোন কাজ- যেমন: পুতুল থিয়েটার, খেলাধুলা এবং খেলনা প্রাণীদের সাথে খেলার মাধ্যমে। 

 

 প্রথম শিক্ষালয়

   ইবনে খালদুন তার মুকাদ্দিমাহ গ্রন্থে বলেছেন, “এটা জানা উচিত যে শিশুদেরকে কুরআনের শিক্ষা দেয়া ইসলামের অংশ। মুসলমানদের  সব শহরে এ ধরনের নির্দেশ রয়েছে এবং তা অনুসৃত হয়ে আসছে। কারণ এটি একটি দৃঢ় বিশ্বাস (ইসলামে) এবং এর কুরআনের আয়াত এবং রাসূলের হাদীস থেকে পাওয়া এই বিশ্বাসের গভীরতা হৃদয়কে আচ্ছন্ন করে। 

  ইসলামী বিশ্বের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল বেশ অনানুষ্ঠানিক ঘরানার। মসজিদগুলো একটি মিলনস্থল হিসাবে ব্যবহৃত হতো যেখানে লোকেরা একজন আলেমকে ঘিরে জড়ো হতে পারে, তার বক্তৃতা শোনায় অংশ নিতে পারে, তার সাথে বই পড়তে পারে এবং জ্ঞান অর্জন করতে পারে। ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ পণ্ডিতদের মধ্যে কেউ কেউ এমনভাবেই জ্ঞান অর্জন করেছিলেন এবং তাদের ছাত্রদেরও এইভাবে শিক্ষা দিয়েছিলেন। 

 মুসলিম চিন্তাধারার চার প্রতিষ্ঠাতা - ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক, ইমাম শাফিঈ এবং ইমাম ইবনে হাম্বল - ইসলামী আইন নিয়ে আলোচনা ও শেখার জন্য অন্যান্য আলিমদের সমাবেশে (সাধারণত মসজিদে) বসে অনেক জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। মুসলিম বিশ্বের কিছু স্কুল অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার এই ঐতিহ্যকে অব্যাহত রেখেছে। ইসলামের তিনটি পবিত্র স্থান - মক্কার মসজিদ আল হারাম, মদিনার মসজিদ আল-নববী এবং জেরুজালেমের মসজিদ আল-আকসা'তে আলিমগণ নিয়মিত বসে মসজিদে বক্তৃতা দেন যেখানে যে কেউ যোগ দিতে পারে। যারা যারা তাদের বক্তৃতা থেকে উপকৃত হতে চান তাদের সবার জন্যই এ জ্ঞান উন্মুক্ত।

 যাই হোক, সময়ের সাথে সাথে মুসলমানরা শিক্ষার উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে শুরু করে। 

 

প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা 

অন্তত ৯০০ সালের দিকে, অল্পবয়সী ছাত্ররা মক্তব নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করতো।

  সাধারণত, মক্তবগুলো একটি মসজিদের সাথে সংযুক্ত ছিল, যেখানে আবাসিক আলেম এবং ইমামরা শিশুদের ক্লাস করাতেন। এই ক্লাসগুলো মৌলিক আরবি পড়া এবং লেখা, পাটিগণিত এবং ইসলামিক আইনের মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণ করতো।

 স্থানীয় জনসংখ্যার অধিকাংশই তাদের শৈশবে  এ ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষিত হতো। মক্তবের পাঠ্যক্রম সমাপ্ত করার পর  শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে পা রেখে  একটি পেশা খুঁজে নিতে পারতো, অথবা আরও জ্ঞানার্জনের জন্য আরব বিশ্বের কোনো মাদ্রাসায় উচ্চ শিক্ষায় অগ্রগামী হতো। 

   সাধারণত মাদ্রাসাগুলো একটি বিশাল মসজিদের সাথে সংযুক্ত থাকতো। এর মাঝে উদাহরণ হিসেবে মিশরের কায়রোর আল-আজহার (৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত) এবং মরক্কোর ফেজ শহরের আল-কারাউইন (৮৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত) বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা যায়। পরবর্তীতে বিখ্যাত সেলজুক উজির নিজাম উল মুলক ইসলামী বিশ্বে অসংখ্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। 

 একটি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী একইসাথে যেমন বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয়, আরবী শিখতে পারতো, তেমনি চিকিৎসা, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ইতিহাস, ভূগোলের মতো অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ বিষয় সম্পর্কেও জ্ঞান অর্জন করতে পারতো। 

  ১১০০ শতকের দিকে কায়রো, দামেস্ক এবং আলেপ্পোতে মাদ্রাসার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭৫, ৫১ এবং ৪৪। সেই সময়ে মুসলিম স্পেনে একশোরও বেশি মাদ্রাসা ছিল। 

  এই মাদ্রাসাগুলোকে প্রথম আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আলাদা অনুষদের অধীনে তাদের বিভিন্ন ধরনের বিষয় ছিল, সেই সাথে ছিলেন বিশেষজ্ঞ আবাসিক শিক্ষক, যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে ছিলেন খুবই দক্ষ। শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নের বিষয় বেছে নিতো এবং গণ্যমান্য অধ্যাপকের অধীনে বেশ কয়েক বছর পড়াশোনা করতো।  

 ইবনে খালদুন উল্লেখ করেছেন যে, তার সময়ে মরক্কোতে মাদ্রাসাগুলোর একটি পাঠ্যক্রম ছিল যা ছিল ষোল বছরব্যাপী বিস্তীর্ণ। তিনি আরও লেখেন যে এটি হল "সবচেয়ে কম [সময়ের পরিমাণে] যেখানে একজন শিক্ষার্থী তার পছন্দসই বৈজ্ঞানিক অভ্যাসটি অর্জন করতে পারে কিংবা বুঝতে পারে যে সে কখনই এটি অর্জন করতে সক্ষম হবে না।" 

   যখন কোনো শিক্ষার্থী তাদের অধ্যয়নের কোর্সটি শেষ করে, তখন তাদের একটি 'ইজাজা' বা লাইসেন্স দেওয়া তো যে তারা সেই প্রোগ্রামটি সম্পন্ন করেছে এবং অন্যদেরকে তা শেখানোর জন্য যোগ্য হয়েছে। 

   ইজাজাহ দেয়ার অধিকার রাখতেন একজন স্বতন্ত্র শিক্ষক, যিনি ব্যক্তিগতভাবে ছাত্রের জ্ঞানের প্রত্যয়ন করতে পারেন। অথবা একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনা শেষ করার স্বীকৃতিস্বরূপ মাদ্রাসার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও ইজাজাহ প্রদান করতো। বর্তমানে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া ডিপ্লোমাগুলির সাথে ইজাজাহর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ তুলনা দেয়া যেতে পারে।

 

শিক্ষা এবং নারী

ইসলামের ইতিহাস জুড়ে নারীদেরকে শিক্ষাক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হতো। নারীদেরকে কখনোই জ্ঞান অর্জনে অক্ষম হিসেবে দেখা হতো না। অন্যকে শিক্ষাদানেও তাদেরকে যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হতো। এর নজির খুঁজতে গেলে আমরা পাই নবী মুহাম্মদ (সা.) এর স্ত্রী আয়েশাকে, যিনি ছিলেন তার সময়ের অন্যতম প্রধান পণ্ডিত। রাসূল (সা.) এর মৃত্যুর পরে মদীনার অনেক লোকের শিক্ষক হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন।

  পরবর্তীকালে ইসলামের ইতিহাসেও নারীদের প্রভাব দেখা যায়। সমগ্র মুসলিম বিশ্বের নারীরা মসজিদে বক্তৃতা দিতে, মাদ্রাসায় যোগদান করতে অগ্রগামী ছিলেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই ছিলেন শিক্ষক। উদাহরণস্বরূপ, দ্বাদশ শতাব্দীর পণ্ডিত ইবনে আসাকির ('তারিখ দিমাশক' নামক দামেস্কের ইতিহাসের উপর লেখা বইয়ের জন্য বিখ্যাত) জ্ঞানের সন্ধানে অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছেন এবং ৮০ জন ভিন্ন মহিলা শিক্ষকের অধীনে অধ্যয়ন করেছেন।

  

শিক্ষাক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে নারীরা প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন:

  মুসলিম বিশ্বের প্রথম আনুষ্ঠানিক মাদ্রাসা, ফিজের আল কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয় ৮৫৯ সালে ফাতিমা আল ফিহরী নামক এক ধনী বণিকের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। 

  আব্বাসীয় খলিফা হারুন উর রশীদের স্ত্রী, জুবাইদা, ব্যক্তিগতভাবে মসজিদ, রাস্তা, হিজাজে পানির সংকট মোকাবেলায় বেশকিছু নির্মাণকাজে অর্থায়ন করেন যা সেসব এলাকার অসংখ্য শিক্ষার্থী এবং ভ্রমণকারীদের অনেক উপকারে এসেছিল। 

   অটোমান সুলতান সুলাইমানের স্ত্রী হুররাম সুলতান হাসপাতাল, হাম্মাম (গোসলখানা), সরাইখানা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অসংখ্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 

  দামেস্কতে আইউবীদের সময়ে (১১৭৪-১২৬০) নারীদের মাধ্যমেই অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা, মসজিদ এবং ধর্মীয় স্তম্ভ) গড়ে ওঠে। 

 মধ্যযুগে ইউরোপের বিপরীতে (এবং এমনকি ১৮০০ এবং ১৯০০ এর দশক পর্যন্ত) নারীরা বিগত ১৪০০ বছরে ইসলামী শিক্ষায় একটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল।

     দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে উপস্থাপন না করে বরং নারীরা জনজীবনে, বিশেষত শিক্ষার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

 

আধুনিক ইতিহাস

 মাদ্রাসা এবং ইসলামী শিক্ষার অন্যান্য ধ্রুপদী রূপের ঐতিহ্য আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে, যদিও সেগুলো অনেক বেশি হ্রাস পেয়েছে।  ১৮০০ এর দশক জুড়ে মুসলিম ভূমিতে ইউরোপীয় শক্তির আগ্রাসন ছিল এর সংজ্ঞায়িত কারণ।

  উদাহরণস্বরূপ, উসমানীয় সাম্রাজ্যে সুলতানদের ফরাসি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী উপদেষ্টারা পাঠ্যক্রম থেকে ধর্মকে সরিয়ে পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা এবং শুধুমাত্র ধর্মনিরপেক্ষ বিজ্ঞান শেখানোর জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের পক্ষে ছিলেন।

  পাবলিক স্কুলগুলো এভাবে শত শত বছর ধরে শেখানো জ্ঞানের ঐতিহ্যগত ক্ষেত্রগুলোর পরিবর্তে ইউরোপীয় বইয়ের উপর ভিত্তি করে  ইউরোপীয় পাঠ্যক্রম শেখানো শুরু করে। যদিও ইসলামিক মাদ্রাসা নিজের অস্তিত্ব বজায় রেখেছিল, তবে সরকারী সমর্থন ছাড়া আধুনিক মুসলিম বিশ্বে তারা তাদের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। 

  আজ প্রাক্তন অটোমান সাম্রাজ্যের বেশিরভাগ অংশ এখনও ইউরোপীয় আদলে শিক্ষা পরিচালনা করে। উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে আপনাকে কোন বিষয়ে মেজর করার অনুমতি দেওয়া হবে তা নির্ভর করে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরীক্ষায় কী ফলাফল করবেন তার উপর।

  যদি আপনি পরীক্ষায় উচ্চ গ্রেড অর্জন করেন, তাহলে আপনি বিজ্ঞানের কোনো ক্ষেত্র যেমন চিকিৎসা অথবা প্রকৌশলে পড়তে পারবেন। আবার যদি কেউ তুলনামূলক কম নাম্বার পায়, তখন সে ইসলামী বিজ্ঞান বা ইসলামী শিক্ষার মতো বিষয় অধ্যয়নের সুযোগ পায়। 

   মুসলিম বিশ্বের বেশিরভাগ স্থানে নতুন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ঐতিহ্যগত শিক্ষা এখনও টিকে আছে। ভারতের দেওবন্দের আল-আজহার, আল-কারাউইন এবং দারুল উলূমের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঐতিহ্যগত পাঠ্যক্রম পরিচালনা করে যা ইসলামিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ বিজ্ঞানকে একত্রিত করে।

   এ ধরনের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্য অতীতের মহান প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিহিত ছিল যা তৈরি করেছিল ইসলামের ইতিহাসের কিছু সর্বশ্রেষ্ঠ পণ্ডিত। জনসাধারণের কাছে তারা ক্রমাগত ছড়িয়ে দিয়েছিলেন ইসলামের জ্ঞান।




উৎস

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


ইতিহাস বিভাগের সর্বাধিক পঠিত


ইসলামের শুরু থেকেই মুসলমানদের হৃদয়ে শিক্ষার বিষয়টি ছিল সবার প্রথমে। ম...

ইতিহাস | 2021-11-18 20:20:27

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ সভ্যতায় একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত সহজ...

ইতিহাস | 2022-03-29 16:14:42

ইতিহাসের বিভিন্ন ধাপে এমন অনেক ঘটনা থাকে, যা ইতিহাসের গতিকে পরিবর্তিত...

ইতিহাস | 2022-04-18 22:09:33

১৯৭১, বাংলাদেশ ভূখন্ডের ইতিহাসেতো বটেই, বিশ্ব ইতিহাসের পাতায় এ এক অবিস...

ইতিহাস | 2021-12-16 20:04:58

পাশ্চাত্য জগৎ আজ বিজ্ঞানকে উন্নতির যে চরম শিখরে পৌছিয়েছে, তার ভিত্তিই...

ইতিহাস | 2021-12-17 19:50:08

এক যে ছিল বীর নামটি তিতুমীর বাঁশের লাঠি দিয়ে ভাঙ্গতো সে জিঞ্জির এ গানট...

ইতিহাস | 2023-01-27 23:49:20

আজ ৫ ডিসেম্বর। ১৮৪৫ সালের এই দিনে পীর মহসীনউদ্দিন দুদু মিয়ার নেতৃত্বে...

ইতিহাস | 2022-12-05 18:23:12

উজবেকিস্তানের তাসখন্দে সংরক্ষিত কুরআনের প্রাচীন একটি পান্ডুলিপিকে বিশ্...

ইতিহাস | 2022-02-28 13:21:44